ওয়েব ডেস্ক: আল্লাহ বান্দার ছোট বড় সব নেক কাজই পছন্দ করেন। তাই আমাদের উচিত সব ধরনের উত্তম কাজ করার জন্যই উদগ্রীব থাকা, কোনো নেক কাজকে তুচ্ছ মনে না করা। অনেকের ক্ষেত্রে আখেরাতে মুক্তির কারণ হবে খুব সহজ কোনো আমল। আদি ইবনে হাতেম (রা.) থেকে বর্ণিত নবি (সা.) বলেছেন, আগুন থেকে আত্মরক্ষা করো যদি তা এক টুকরো খেজুর দিয়েও হয়, যদি তাও সম্ভব না হয়, তাহলে একটি সুন্দর কথা দিয়ে হলেও। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম) আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে নবিজি (সা.) বলেছেন, তোমরা কোনো ভালো কাজকেই তুচ্ছ ভেবো না; যদি সেটা তোমার ভাইয়ের সাথে হাসি মুখে দেখা করাও হয়। (সহিহ মুসলিম)
কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, সেদিন মানুষ বিক্ষিপ্তভাবে বের হয়ে আসবে যাতে দেখানো যায় তাদেরকে তাদের নিজদের কৃতকর্ম। যে অণু পরিমাণও নেক আমল করবে, সে তা দেখতে পাবে। আর যে অণু পরিমাণও মন্দ কাজ করবে সেও তা দেখতে পাবে। (সুরা জিলজাল: ৬-৮)
এ আয়াতগুলো থেকে বোঝা যায়, মানুষ নিজের প্রত্যেকটি কাজের প্রতিফলই আখেরাতে দেখতে পাবে। মানুষের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র নেক আমলের প্রতিদান মানুষ পাবে, একইভাবে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পাপেরও হিসাব দিতে হবে। আমরা তুচ্ছ ভেবে অনেক ছোট নেক আমলের সুযোগ যেমন হাতছাড়া করি, তুচ্ছ ভেবে অনেক গুনাহও করে বসি, যা হয়তো কেয়ামতের কঠিন দিনে শাস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
রসূল সা. বলেন, বান্দা এমন কথা বলে, যেটাকে সে কিছুই মনে করে না, কিন্তু সেই কথাটির জন্য সে জাহান্নামের এমন গভীরে নিক্ষিপ্ত হবে যার ব্যবধান পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যস্থিত ব্যবধানের চেয়েও বেশি। (সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম)
তাই পরকালে সফলতার জন্য আমাদের কর্তব্য প্রতিটি ক্ষুদ্র ভালো কাজেরও সুযোগ গ্রহণ করা এবং ছোট মনে হয় এমন গুনাহগুলো থেকেও বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করা। জানা অজানা সব ভুলত্রুটির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।